সুনামগঞ্জ , রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ২৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
৩ দিন ধরে নিখোঁজ, নদীতে মিলল জমিয়ত নেতার মরদেহ সীমান্তে ২৩টি ভারতীয় গরু জব্দ দিরাইয়ে তিন ভাগে বিভক্ত বিএনপি শীঘ্রই একটি নির্দিষ্ট সময় হাওরে মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হবে : উপদেষ্টা ফরিদা আখতার ঈদে মিলাদুন্নবীর গুরুত্ব ও তাৎপর্য সুনামগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ক গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো অবৈধ স্থাপনা দিরাইয়ে বিএনপি’র শোভাযাত্রায় নেতাকর্মীদের ঢল দিরাইয়ে বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৩ দুই ছাত্রীকে অপহরণ, নির্যাতন ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ দায়িদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নিতে জুডিসিয়াল তদন্ত কমিটি গঠন তৎকালীন আইজিপির বর্ণনায় ৫ আগস্ট সরকারিপ্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন জামালগঞ্জে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন সুনামগঞ্জ হাসপাতালে ১২ ধরনের আড়াই কোটি টাকার ওষুধ মেয়াদোত্তীর্ণ সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে জুলাই গণহত্যা : রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি মামুন শিক্ষাক্ষেত্রে সুনামগঞ্জকে এগিয়ে নিতে সবার সহযোগিতা চাই : জেলা প্রশাসক অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণ না করার নির্দেশ দিলেন জেলা প্রশাসক স্ত্রীর সাথে অভিমান করে স্বামীর আত্মহত্যা প্রকৌশলী কামরুল হকের মৃত্যু নিয়ে রহস্য স্বজনদের দাবি ‘পরিকল্পিত হত্যা’ বিএনপি’র ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত

পথে যেতে যেতে: পথচারী

  • আপলোড সময় : ২২-০৪-২০২৫ ১২:০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২২-০৪-২০২৫ ১২:১৪:০৫ পূর্বাহ্ন
পথে যেতে যেতে: পথচারী ছবি: পথচারী।
পথচারী::
সত্যজিৎ রায় একটি নাম, একটি ইতিহাস। ভারত তথা এশীয় মহাদেশে চলচ্চিত্র জগতে একটি অনন্য নাম। পূর্ব পুরুষের জন্মভিটা বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী উপজেলার মসুয়া গ্রামে হলেও জন্ম ভারতের কোলকাতায়। পিতা- সুকুমার রায়, মাতা- সুপ্রভাত রায়, স্ত্রী- বিজয়ী রায় চৌধুরী (১৯৪৯-১৯৯২)। সত্যজিৎ রায় একাধারে চলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্র নাট্যকার, লেখক, সংগীত পরিচালক, ক্যালিওগ্রাফার, শিল্প নির্দেশক।

ছোটবেলায় সংগীতের প্রতি তার বেশ ঝোক ছিল। স্থানীয় বিদ্যালয়ে প্রাথমিক পড়াশোনা শেষে ভর্তি হন প্রেসিডেন্সি কলেজে। প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েট, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাস করেন। সত্যজিৎ রায় প্রথমে ছবি নির্মাণ করেন ‘পথের পাঁচালী’। অবাক করা বিষয় হল এই ছবিটিই পরপর ১১টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করে। ছবিটি বাংলা চলচ্চিত্রকে এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যায়। দেশে-বিদেশে ছবিটি বহু প্রশংসিত হয়। বাঙালি মাত্রই ছবিটি দেখেননি এমন দর্শক কম আছেন। ‘পথের পাঁচালী’-এর পর নির্মাণ করেন ‘অপুর সংসার’ (১৯৫৫-১৯৫৯), ‘চারুলতা’ (১৯৬৪), দ্য মিউজিক রুম (১৯৫৮), গোপী গাইন বাঘাবাইন (১৯৬৩) ইত্যাদি। পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, প্রামাণ্যচিত্র, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র সব মিলিয়ে তিনি মোট ৩৭টি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন।
বাংলা চলচ্চিত্র নির্মাতাদের মধ্যে প্রথম সারির একজন হচ্ছেন সত্যজিৎ রায়। ভাল চলচ্চিত্র নির্মাণের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার ‘ভারত রতœ’ লাভ করেন ১৯৯২ সালে। এছাড়াও তিনি অর্জন করে ‘একাডেমি অনারারি এডওয়ার্ড’, ‘লেজিও দলরের পদক (ফ্রান্স) ফ্রান্স সরকারের সর্বোচ্চ সম্মাননা, ‘দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কার (১৯৮৪), পদ্মশ্রী (১৯৫৮), পদ্মভূষণ (১৯৬৫), কমান্ডার অব দি লিজিয়ন অনার (১৯৮৭) ইত্যাদি। সত্যজিৎ রায় ছিলেন বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী। সত্যজিৎ রায়ের কর্মজীবন শুরু কমার্শিয়াল আর্টিস্ট হিসেবে। পাশাপাশি লেখালেখি করতে থাকেন স্থানীয় পত্র-পত্রিকায়।
তার রচিত বিখ্যাত গোয়েন্দা চরিত্র ‘ফেলুদা’ পাঠকমহলে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। তার রচিত অপর একটি কাল্পনিক চরিত্র প্রফেসর শংকু, তারিনী খুড়ো প্রভৃতি। বেশকিছু উপন্যাস ও ছোটগল্প তিনি রচনা করেন যা বাংলা সাহিত্যে অমর হয়ে আছে। মধ্যপ্রাচ্য থেকে ‘মোল্লা নাসির উদ্দিন’ গল্পের সংকলন সংগ্রহ করে তিনি প্রকাশ করে যা ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। এ সমস্ত রচনা তিনি স্থানীয় বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশ করেন তারই বন্ধু নির্মাল্য আচার্য্যরে মাধ্যমে। নির্মাল্য আচার্য্য ‘এক্ষণ’ নামে একটি পত্রিকা সম্পাদনা করতেন। সত্যজিৎ রায় চলচ্চিত্র বিষয়ক লেখা লিখতেন এবং অনেক ছোটগল্প লিখতেন যা বাংলা সাহিত্যে কালজয়ী হয়ে আছে।
তার অনেক গল্প ও উপন্যাস ইংরেজিতে অনূদিত হয়েছে যা পাঠক সমাজে সমাদৃত হয়েছে। সত্যজিৎ রায় এমনই বহুমাত্রিক লেখক যিনি কাল্পনিক চরিত্র চরনা করে পাঠকমহলে সমধিক পরিচিত লাভ করেছেন। যেমন, ফেলুদা, তারিনী খুড়ো, প্রফেসর শংকু প্রভৃতি। এ সকল চরিত্র দর্শকমহলে ব্যাপক সাড়া পায়। তার
ছেলে সন্দীপ রায়ও চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন। সত্যজিৎ রায়ের অধিকাংশ রচনাই স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছে। এগুলো এতই জনপ্রিয়তা পেয়েছে যে, তা অন্য ভাষায় অনূদিত হয়ে প্রকাশ পেয়েছে। এ সকল রচনা ‘আনন্দ প্রকাশ’ নামে একটি প্রকাশনা সংস্থা প্রকাশ করে ছড়িয়ে দিয়েছে পাঠকমহলে। বাংলা ভাষা-ভাষী মানুষ চিরদিন মনে রাখবে সত্যজিৎ রায়কে। সত্যজিৎ রায়ের জন্ম ১৯২১ সালের ২ মে এবং মৃত্যু ১৯৯২ সালের ২৩ এপ্রিল। আমরা এই অমর চলচ্চিত্র প্রতিভার প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। বাঙালি জাতি চিরদিন তাকে স্মরণ করবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
৩ দিন ধরে নিখোঁজ, নদীতে মিলল জমিয়ত নেতার মরদেহ

৩ দিন ধরে নিখোঁজ, নদীতে মিলল জমিয়ত নেতার মরদেহ